আড্ডার ছলে, নিজেদের স্মার্ট দেখাতে, অন্যের ওপর রাগ করে সামনের মানুষটাকে হয়তো অনেক কিছু বলে থাকি আমরা। একবারও চিন্তা করি না, যাকে নিয়ে বা যাদের নিয়ে বলছি তার কেমন লাগছে। কাউকে নেতিবাচকভাবে আঘাত করে কিছু বলাটাই হলো বুলিং। বুলিং শব্দটা শুনতে ছোট হলেও এর পরিণতি অনেক ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে। বিশেষ করে সেই ব্যক্তির জন্য, যাকে বুলিং করা হয়। বুলিং অনলাইন এবং সরাসরি দুইভাবেই করা হয়ে থাকে। তবে বড়দের চেয়ে শিশুরা বেশি বুলিং এর শিকার হয়ে থাকে।
কাউকে নেতিবাচকভাবে
আঘাত করে কিছু বলাটাই হলো বুলিং।
বুলিং করা হতে পারে যে কারণে
আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন, যারা নিয়মিতভাবে পরিবার, বন্ধু-বান্ধব, সমাজ, কাছের মানুষ, কাজের জায়গায় বুলিং এর শিকার হয়ে থাকেন। কারণ হতে পারে শরীরের আকার, চেহারা, খাওয়া-দাওয়া, কাজ, চলাফেরা, জীবনযাপনের স্টাইল, পড়াশোনা এমনকি পরীক্ষার ফলাফলও। অনেক ক্ষেত্রে জীবনের ছোট ছোট সাফল্য, অর্জনের কারণেও অনেকে কটু কথা শোনেন।
ফলাফল
বুলিং এ শিকার ব্যক্তিরা নানা ধরনের সমস্যায় পরেন। পরিবার, বন্ধু-বান্ধব, সমাজ, চাকরি সবকিছু থেকে নিজেকে সরিয়ে নিতে বাধ্য হন, পরিস্থিতি সামলাতে না পারলে। এ ছাড়া তাঁরা তাদের দৈনন্দিন জীবনেও আগ্রহ পান না কোনো। একাকিত্ব, বিষণ্নতা, উদ্বেগ, চাপ, সম্পর্কে সমস্যা হতে পারে। সবকিছু নিয়েই হতাশা বা ভয়ে থাকেন। কোনো কিছু সহজে গ্রহণ করতে পারেন না। রাগ বেড়ে যায়। পারিবারিক কিংবা সামাজিক যেকোনো অনুষ্ঠান থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন, নিজের ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলেন, ছাত্র-ছাত্রীদের একাডেমিক ফলাফল খারাপ হয়। এ ছাড়া ঘুমের এবং খাওয়ার ধরন পরিবর্তন হয়ে যায়। সর্বোপরি মানসিক এবং আবেগীয় সমস্যার সৃষ্টি হয় যা পরবর্তীতে শারীরিক সমস্যারও সৃষ্টি করে।
যেভাবে সচেতনতা বাড়াবেন
কেন বুলিং করা উচিত না
যিনি কটু কথা শুনছেন এবং যিনি শোনাচ্ছেন, দুজনেই অশান্তিতে থাকেন। যারা নিয়মিতভাবে অন্যদের বুলিং করেন, তাঁরাও কোনো না কোনো কারণে মানসিক অস্থিরতায় ভুগছেন। সুন্দরভাবে জীবন যাপনের জন্য আরকজনকে হীনমন্যতাবোধ করানোর এই কৌশল, বন্ধ করে দেওয়া উচিত। বুলিং এর কারণে অনেকে মানসিক এবং শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকেন। পরিবারকেও দিনদিন ক্ষতির দিকে নিয়ে যায়। এ ছাড়া একজন বিশ্বস্ত ব্যক্তির সঙ্গে এ বিষয়টি নিয়ে আপনার মতামত ভাগ করে নিতে পারেন। বুলিং সম্পর্কে সাহায্য প্রয়োজন হলে বা বুলিং হতে পারে এমন জায়গায় সেই বিশ্বস্ত ব্যক্তিকে সঙ্গে নিতে পারেন কিংবা তার সঙ্গে কথাও বলতে পারেন। প্রয়োজনবোধ করলে কোনো সাপোর্ট সার্ভিস কিংবা মানসিক স্বাস্থ্যসেবামূলক প্রতিষ্ঠান থেকে সাহায্য নিতে পারেন।
এই ব্লগের একমাত্র উদ্দেশ্য মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধি করা। পাঠকের বোঝার সুবিধার্থে এতে কিছু প্রতীকি ঘটনা ব্যবহার করা হয়েছে।
এই ব্লগ বা এর কোনো অংশ পড়ে কেউ আঘাতপ্রাপ্ত হলে তার জন্য লেখক ও ‘মনের বন্ধু’ দায়ী নয়। মনের ওপর চাপ অনুভব করলে বা মানসিকভাবে ট্রিগার্ড অনুভব করলে দ্রুত মনের বন্ধু বা যেকোনো মানসিক স্বাস্থ্যবিদের সাথে যোগাযোগ করুন।
মনের বন্ধুতে কাউন্সেলিং নিতে যোগাযোগ করুন: ০১৭৭৬৬৩২৩৪৪।
📍: ৮ম ও ৯ম তলা, ২/১৬, ব্লক-বি, লালমাটিয়া, ঢাকা
সময় যত এগিয়ে যাচ্ছে সময়ের সাথে তাল মেলাতে বৃদ্ধি পাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের হার। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক,ইনস্টাগ্রাম, টুইটার, হোয়াটসঅ্যাপ, টিকটক, টেলিগ্রাম ইত্যাদি
A “Social Media Break” is taking a pause from engaging with online platforms, for a temporary period, to recharge oneself and focus on one’s mental well-being.
পড়ন্ত বিকেল। জানালায় বাইরে আকাশ দেখতে দেখতে হঠাৎ হৃৎস্পন্দন বেড়ে গেল। পাশাপাশি শুরু হলো শ্বাস নেওয়ার কষ্ট, বুকে প্রচণ্ড ব্যথা, স্বাভাবিকের চেয়ে অতিরিক্ত ঘামা
All of your classmates have planned a trip for the upcoming weekend—how can you say no despite your hectic schedule? Or, if a colleague asks for help with a time-consuming task when you’re already ove